মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০১৩

জন্মগত ভাবে ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয় যথার্থ নয়, ধর্মীয় দর্শন চর্চা ও পালনের মধ্যেই ধার্মিকের পরিচয়।

প্রতিটি মানুষ যে গোত্র বা সম্প্রদায়ে জন্মগ্রহন করে থাকে স্বাভাবিক দৃষ্টিকোন থেকে প্রত্যেকে নিজ নিজ গোত্রের পরিচয় বহন করে থাকে। প্রতিটি সম্প্রদায়ের নিজস্ব দর্শন রয়েছে এবং অনেকেই তার গোত্রীয় দর্শন চর্চা এবং পালন করে থাকে। আমার জানা মতে প্রতিটি ধর্মীয় দর্শনে বিভিন্ন ভাবে মানুষের শান্তির বানী শোনানো হয়েছে এবং পাপ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। তারপরেও যদি কেও পাপ কর্মে লিপ্ত হয় তবে ঐ পাপের দায়ভার ঐ ধর্মীও দর্শনের নাকি একান্তই ঐ ব্যক্তির। ধরুন আসিফ মহিউদ্দিন,প্রণব আচার্যা,সুসান্তদাস গুপ্ত তসলিমা নাসরিন এরা এক একজন ধর্ম বিদ্বেষী লেখক কিন্তু এরা এক একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ে জন্মগ্রহন করেছেন এবং ঐ সব সম্প্রদায়ের নাম পরিচয় বহন করছে। এখন এই লোকগুলো দ্বারা যদি কোন অন্যায় কার্য সংগঠিত হয়, তাহলে তাদের কর্মের দায়ভার তার পৈতিক সম্প্রদায়ের উপর চাপানো মূর্খামী নয় কি?

সম্প্রতি একটি ১১ বছরের হিন্দু শিশুকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে ধর্ষনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠি ধর্মীয় সহিংসতার অপচেষ্টা করছে। যে পশু এই ঘৃন্য কাজটি করেছে সে কি আসলেই ইসলামী জ্ঞানসম্পর্ণ মানুষ এবং তার এই কর্ম কি ইসলাম চর্চার ফসল? অবশ্যই নয় ! তাহলে কেন আমরা এই অপরাধের সঙ্গে  ইসলাম শব্দটি যোগ করছি। এর ফলে আমাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্পর্কে ফাটল ধরে জাতিগত হিংসার সৃষ্টি হচ্ছে। আসলে জন্মগত ভাবে কোন ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয় যথার্থ নয়, ধর্মীয় দর্শন চর্চা ও পালনের মধ্যেই ধার্মিকের পরিচয়। আমাদের উচিৎ, কোনো অপরাধ সংগঠিত হলে, কোন প্রকার বিভাজন না হয়ে  সম্মিলিত ভাবে অপরাধীর দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যাপারে শোচ্চার হওয়া।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন